লিগ ওয়ানে মার্সেইকে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারালো পিএসজি। তিন গোলেই জড়িয়ে কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনেল মেসির নাম। ফরাসি ফরোয়ার্ড জোড়া গোল করলেন, অবদান রাখলেন অন্য গোলে। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক করলেন একটি গোল, অবদান রাখেলেন এমবাপের দুই গোলে। তাদের নৈপুণ্যে মার্সেইকে অনায়সেই হারাল পিএসজি।

একটু ঢিমে তালে শুরু হওয়ায় ক্লাসিকোয় প্রথম ভালো সুযোগ পায় মার্সেই। প্রতি আক্রমণে গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মাকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন নুনো তাভারেস। কিন্তু শট নিতে একটু দেরি করে ফেলেন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। পেছন থেকে দুর্দান্ত স্লাইডে দলকে বিপদমুক্ত করেন নুনো মেন্দেস।

প্রতিপক্ষের মাঠে ২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। মাঝমাঠ থেকে মেসির বাড়ানো বল ধরে দারুণ গতিতে এগিয়ে গিয়ে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন এমবাপে।

২৯তম মিনিটে মেসির ‘ঋণ’ যেন শোধ করে দেন এমবাপে। নিখুঁত পাসে পেনাল্টি স্পটের কাছাকাছি জায়গায় তিনি খুঁজে নেন আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে। ঝাঁপিয়ে পড়া গোলরক্ষক পাও লোপেসের চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন মেসি। ৩৬তম মিনিটে আরেকটি ভালো সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবাপে।

দ্বিতীয়ার্ধে একইরকম আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে পিএসজি। এর ফলও পেয়ে যায় দ্রুত। ৫৫তম মিনিটে মেসিকে বল বাড়িয়ে ডি বক্সের দিকে ছুটতে থাকেন এমবাপে। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের উঁচু করে বাড়ানো বলে প্রথম স্পর্শে চমৎকার ভলিতে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। ১৭ গোল নিয়ে চলতি লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠলেন এমবাপে। মেসির গোল ১২টি।

৬৫তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে পিএসজির ত্রাতা দোন্নারুম্মা। খুব কাছ থেকে সানচেসের হেড ঝাঁপিয়ে কোনোমতে এক হাতে ফিরিয়ে দেন ইতালিয়ান গোলরক্ষক। ফিরতি বলে সুযোগ ছিল জিয়াদ কোলাসিনাচের সামনে কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।

শেষ দিকে ব্যবধান কমানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন ভিতিনিয়া। কিন্তু অনেকটা দোন্নারুম্মা বরাবর শট নিয়ে দলকে হতাশ করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।

এই জয়ে ২৫ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করল পিএসজি। শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে এগিয়ে গেল ৮ পয়েন্টে। ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই।